ইংল্যান্ডে করোনার দ্বিতীয় থাবায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াতে পারে ১ লাখ ২০ হাজার

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় থাবা প্রথমবারের সংক্রমনের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। তারা মনে করেন আরো একবার যদি আঘাত হানে এই মরন ভাইরাস তবে এবার হাসপাতালগুলোতে প্রাণ যেতে পারে পারে ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশী আক্রান্তের।
সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্স কর্তৃক গঠিত একাডেমি অফ মেডিকেল সায়েন্সেস কমিশন তাদের নতুন প্রতিবেদনে বলছে দ্বিতীয়বার সংক্রমনের এই ধাক্কা হবে ভয়াবহ যাকে তারা ‘যুক্তিসঙ্গত খারাপ পরিস্থিতি হিসাবে চিহ্নিত করেছে’।
এই প্রতিবেনটি বলেছে, কোভিড -১৯-এর দ্বিতীয় ধাক্কা সামাল দিতে হলে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের কোন বিকল্প নেই। নয়তো সংক্রমন এবং মৃত্যুর হার দুটোই বাড়বে ব্যাপকভাবে।
এই গবেষণা মতে আগামী চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত এই সংখ্যক মানুষ মারা যেতে পারে। অপরিদিকে এই এক সময়ে শীতকালীন স্বাভাবিক সময়ের নিয়মিত রোগীর চাপ এবং নানা ধরনের ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়া রোগীর চাপও সামাল দিতে হবে হাসপাতালগুলোকে।
৩৭জন বিজ্ঞানী ও তাত্বিক তাদের গবেষণার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯ নিয়ে সামনের যে চ্যালেঞ্জ তা নিয়ে গবেষণা করে এই তথ্য উন্মোচন করেছেন।
আর এই সময়ে অতীতে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আবারো আক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে। যা সেপ্টেম্বরে থেকেই ১.৭ মাত্রায় বাড়তে পারে।
গবেষকরা বলছে, প্রথম ধাক্কায় যে পরিমান মৃত্যু ও সংক্রামনের ঘটনা ঘটেছে জানুয়ারির প্রথমদিকে ২০২১ সালের একই সময় গিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা হাসপাতালগুলোতে সে তুলনায় বেড়ে যেতে পারে। তবে এই তালিকায় কেয়ার হোমগুলোকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।
এই তুলনামূলক চিত্র দাড় করানোর ক্ষেত্রে আইসিইউতে ডেক্সামেথেসোন ওষুধ ব্যবহারের বিষয়টিকে আমলে নেয়া হয়নি, যদিও এর আগে প্রমানিত হয়েছে যে এটি মৃত্যুর হার কমাতে ভূমিকা রাখে।
এদিকে সোমবার জাতীয় ফার্মাসি অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনে যোগ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেন, ইতিহাসের বৃহত্তম ফ্লু ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম চালু করার জন্য সরকার পর্যাপ্ত ফ্লু ভ্যাকসিন সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে।